নিজেকে উপস্থাপন করতে ফ্যাশন

ফ্যাশন মানেই বৈচিত্র্য। আপনি কতটা বৈচিত্র্য আর নতুনত্বের সাথে নিজেকে উপস্থাপন করতে পারছেন তার নামই ফ্যাশন। আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি বড় অংশ এই ফ্যাশনের সাথে জড়িয়ে আছে। ফ্যাশন একটি মাধ্যম যার সাহায্য নিয়ে আপনি নিজেকে সংজ্ঞায়িত করতে পারবেন। তবে মানুষের মাঝে ভিন্নতার কারণে তাদের লাইফস্টাইলের সাথে সাথে তাদের ফ্যাশনেও আছে ভিন্নতা।

ফ্যাশন চয়েজ় দেখে চেনা যায় আপনার ব্যক্তিত্ব কেমন?

উজ্জ্বল। ঝলমলে। এক মুহূর্তে মনের সব মলিনতা, দমচাপা মেঘলাভাব কাটিয়ে দেয় হলুদ রং। সুবিধে হচ্ছে, হলুদ রংটা খুব ভার্সেটাইল। ট্র্যাডিশনাল দেশি পোশাক থেকে আরম্ভ করে নকশাদার বিদেশি গাউন, সব ধরনের পোশাকেই বাহার খোলে ভালো। খুব সনাতন তাঁতে বোনা উজ্জ্বল হলুদরঙা কাঞ্জিভরম বা বেনারসি শাড়ি পরলেও আপনাকে আর পাঁচজনের চেয়ে আলাদা দেখাবে।

এই সাঙ্ঘাতিক গরমকালে দিনেরবেলা এমন ঝলমলে একটি রং কি মানানসই হবে? উত্তর হচ্ছে, টোনের সামান্য এদিক-ওদিক করে নিলেই আপনি স্বচ্ছন্দে হলুদের নানা শেড পরতে পারেন, দিনের যে কোনও সময়ে যে কোনও অনুষ্ঠানে তা দেখতে ভালো লাগবে। আর একটা কথা, যে কোনও কমপ্লেকশনেই হলুদের উজ্জ্বলতা চমৎকার ফুটে ওঠে। তাই আপনার গায়ের রং ফরসা নয় ভেবে এই শেডটি থেকে দূরে সরে থাকবেন না।

খেয়াল রাখবেন, এই রংটি নিজেই খুব নজরকাড়া। হলুদের উপর প্রিন্ট করা থাকলে সেটাও চোখ টানে। তাই সাজের ক্ষেত্রে স্মোকি আই মেকআপ ছাড়া অন্য কোনও উজ্জ্বল রং ট্রাই না করাই ভালো। ঠোঁটে ন্যুড লিপস্টিক মানানসই হবে। হেয়ারস্টাইল রাখুন একেবারে স্লিক আর সিম্পল। তবে কানে বা গলায় একটি স্টেটমেন্ট গয়না পরাই যায়। জুতো বা ব্যাগের ক্ষেত্রেও হয় ম্যাচিং, না হলে ন্যুড স্টিলেটো বা পাম্পস বেছে নেওয়া ভালো।

পোশাক পরলে কপালে একটা ছোট্ট টিপ পরেন না, এমন মেয়ে খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। কিন্তু কোন আকার আর আয়তনের টিপে আপনাকে সবচেয়ে সুন্দর দেখাবে, তা জানেন কি?

মেয়েদের মুখের যা গড়ন, তাতে গোল টিপ মোটামুটি সবাইকেই মানায়। কিন্তু লম্বা বা ত্রিকোণাকার টিপের ক্ষেত্রে খুব নিশ্চিতভাবে সে কথা বলা যায় না। যাঁদের মুখ ডিমের ছাঁদের, তাঁরা স্বচ্ছন্দে লম্বা টিপ পরতে পারেন। লম্বা টিপে আপনার মুখটাও বেশি লম্বা দেখাবে, যাঁদের মুখের আকৃতি ছোট, তাঁরা অতিরিক্ত লম্বা টিপ না পরলেই ভালো করবেন। লিপস্টিক আর টিপের রং ম্যাচ করান, তা হলে ব্যালান্স বজায় থাকবে।

হ্যান্ডলুমের পোশাক পরুন

প্যাচপেচে ঘাম আর হাঁসফাঁসানি গরম আমাদের নিত্যসঙ্গী। এই পরিস্থিতিতে আরামে থাকতে গেলে এমন পোশাক-আশাক বাছতে হবে যা আরামদায়ক এবং ত্বকের সঙ্গে একেবারে সেঁটে থাকে না। ত্বক শ্বাস নিতে পারলেই আপনিও ঝরঝরে সুন্দর থাকবেন! যে কোনও দেশজ, হ্যান্ডলুম ফ্যাব্রিক সে ক্ষেত্রে আপনার সহায় হতে পারে।

মেয়েদের জন্য ক্যাজ়ুয়াল ও কাজের পোশাকের সম্ভার তৈরি হয়েছে গ্রাম বাংলার হাতে কাটা সুতোয় বোনা হ্যান্ডলুম কাপড়ে। খুব স্টাইলিশ ইভনিংওয়্যার আছে, হ্যান্ডলুম ব্যবহার করে তাক লাগানো ক্লাবিংয়ের পোশাকও তৈরি করে ফেলা সম্ভব।

এই ধরনের পোশাকের সঙ্গে কেমন গয়না পরবেন। আজকাল সাবাই ঘাস দিয়ে চমৎকার সব গলার গয়না তৈরি হয়, সেই সঙ্গে বহুদিনের চেনা টেরাকোটার অলঙ্কার তো আছেই। বাছতে পারেন বেত বা ঘাসে তৈরি ব্যাগ, কাঁথা কাজের স্লিং ব্যাগ ইত্যাদিও খুব সুন্দর দেখতে হয়। আর মেকআপ রাখুন মিনিমাল। চোখে সামান্য কাজল আর মাসকারা অবশ্য ব্যবহার করতে পারেন। ঠোঁটে ন্যুড শেডের লিপস্টিকও চলবে।

সূত্র ; fashion

 

লেখাটি পছন্দ হইলে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
নিয়মিত সুন্দর সুন্দর টিপস পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ এ অ্যাক্টিভ থাকুন।