ছেলেদের চুলের যত্নে শ্যাম্পু, জেনে নেনি কোন চুলে কী রকম শ্যাম্পু

প্রতিদিনের রাস্তা-ঘাটের ধুলো বালিতে চুল হয় একেবার রুক্ষ। তারপরে প্রতিদিন গরমে-ঘামে মাথায় ময়লার একাটি স্তর তৈরি হয়। আর এটার জন্য একটিই সমাধান, শ্যাম্পু। তোমার যদি চুলের যত্ন নেওয়ার অভ্যাস না থাকে, তাহলে চুলের ক্ষতির জন্য তুমিই দায়ী। বরং নিজেকে যত্ন নেওয়ার জন্য রুটিনে পরিবর্তন আনো।

তবে একটি বিষয় লক্ষ্য করা যায় বেশির ভাগ ছেলে চুলের যত্ন নিতে চায় না। অযত্নের কারণে চুলে যথেষ্ট ময়লা জন্মায়।

তুমি যদি সপ্তাহে একবার শ্যাম্পু ব্যবহারকারী হও, তাহলে তোমার রুটিন পরিবর্তন করো। সপ্তাহে অন্তত ৪ দিন শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে। এর ফলে তোমার চুল ঝলমলে দেখাবে এবং মাথার ত্বক পরিষ্কার থাকবে। শ্যাম্পু চুলের অতিরিক্ত তেল ময়লা দূর করে। চুলের আদ্রতা বজায় রাখে।

চুল ঠিক রাখতে আমরা সবসময় শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করে থাকি। তবে একেক জনের চুল একেক রকম হওয়ায় শ্যাম্পু ও কন্ডিশনারও আলাদা হওয়া জরুরী। চলুন জেনে নেওয়া যাক চুলের ধরণ অনুযায়ী কোন রকম শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে।

কোন চুলে কী রকম শ্যাম্পু

১. তৈলাক্ত চুলে প্লেন শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। দেখতে স্বচ্ছ হলে বুঝবেন প্লেন শ্যাম্পু। ডিটারজেন্ট বেস শ্যাম্পু বা ঘন ক্রিমের মতো শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন না।

২.তৈলাক্ত চুল শ্যাম্পু করার পর নেতিয়ে শ্যাম্পুর সঙ্গে সামান্য বেকিং পাউডার মিশিয়ে নিন। চুলের গোড়ার অতিরিক্ত তেল চুষে নেবে।
৩. শুষ্ক চুলে ময়েশ্চারাইজার ছাড়া ক্লিয়ার শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন না। ওমেগা থ্রি আছে এমন ময়েশ্চারাইজার শ্যাম্পু ব্যবহার করুন।
৪. চুলে স্বাভাবিক মাইল্ড শ্যাম্পু ব্যবহার করুন, যা চুলের ময়েশ্চার ধরে রাখবে। স্ক্যাল্পে র‌্যাশ, চুলকানি হবে না- এ রকম শ্যাম্পু বেছে নিন।
৫. কোঁকড়ানো চুল হলে ময়েশ্চারাইজিং শ্যাম্পু বেছে নিন। সপ্তাহে দুবার অলিভ অয়েল বা কাস্টার অয়েল লাগান। সকালে শ্যাম্পু করুন। চুলের ময়েশ্চার বজায় থাকবে।
৬. কালারড চুলের স্ক্যাল্পে পরিষ্কার করার দিকে বিশেষ নজর দিন। কালারড চুলের জন্য নির্ধারিত শ্যাম্পু ব্যবহার করুন।
৭. পাতলা চুল সহজে নেতিয়ে যায়। লেবু, ফলের রসসমৃদ্ধ শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। ফ্রুট এসিড চুলের তেল-ময়লা পরিষ্কার করে, চুলের ভলিউম বাড়ায়।

চুলের ধরণ
চুলের ধরণ অনুযায়ী শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার
কোন চুলে কী রকম হেয়ার কন্ডিশনার

১. রুক্ষ চুলে ময়েশ্চার ও প্রোটিনসমৃদ্ধ কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। ভিটামিন-ই অ্যালোভেরাসমৃদ্ধ কন্ডিশনারও শুষ্ক চুলের জন্য ভালো।
২. তৈলাক্ত চুলে এমন কন্ডিশনার ভালো, যাতে ফ্যাটি এসিড কম থাকে।
৩. বেশ কয়েক দিন চুল পরিষ্কার করার পর যদি জট না পড়ে বা ভেঙে না যায়, তাহলে আপনার স্বাভাবিক চুল। এ ধরনের চুলের জন্য লিভ অন কন্ডিশনার আদর্শ।
৪. কোঁকড়ানো চুলের স্ক্যাল্পের অয়েল চুলের শেষ প্রান্তে এসে পৌঁছায় না। এ ধরনের চুলের জন্য ডিপ কন্ডিশনার, যা চুলের ময়েশ্চার বজায় রাখে। জোজোবা অয়েল, অ্যাভোকাডোসমৃদ্ধ কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।
৫. কালার চুলের জন্য যেসব কন্ডিশনার বাজারে পাওয়া যায় সেগুলো ব্যবহার করুন। হারবাল কন্ডিশনার এ ধরনের চুলের জন্য ভালো।

শুধু প্রতিদিন শ্যাম্পু ব্যবহার করাই চুলেন আসল যত্ন নয়। এর সাথে কিছু টিপস জেন নিতে পারেন:

১. যদি তোমার চুল রুক্ষ-শুষ্ক হয়ে থাকে, তাহলে প্রতিদিন শ্যাম্পু ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকো।
২. সুস্থ চুলের জন্য সুষম খাদ্য এবং একটি সুস্থ জীবনধারার প্রয়োজন রয়েছে। এজন্য কিছু নিয়ম মেনে চলা দরকার-
৩. বেশি পরিমাণ পানি পান করতে হবে।
৪. প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় আয়রণ, প্রোটিন, জিঙ্ক এবং ভিটামিন সি যুক্ত খাবার রাখতে হবে।
৫. দৈনিক ব্যায়াম করতে হবে।
৬. চেষ্টা করো যথাসম্ভব স্ট্রেস মুক্ত থাকতে।
৭. টাইট ক্যাপ এবং টাইট হেলমেট পরা এড়িয়ে চলতে হবে।

সুত্রঃ bd24report

লেখাটি পছন্দ হইলে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
নিয়মিত সুন্দর সুন্দর টিপস পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ এ অ্যাক্টিভ থাকুন।