”টুকিটাকি” থানকুনি পাতার উপকারিতা

থানকুনি পাতার গুনাগুন ও উপকারিতা ….

থানকুনি পাতা বাংলাদেশে অনেকে উদ্ভিজ্জ হিসেবে খেয়ে থাকেন। আবার ঐতিহ্যগতভাবে, এটি ঔষধি হিসেবে ও ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বিভিন্ন গবেষণায় ও এটিকে ঔষধি ও উদ্ভিজ্জ এর পক্ষে সমর্থন করেছেন। তাই এটির নিরাপদ ও যথাযথ ব্যবহার নির্দেশিকা জানার জন্য ডাক্তার এর সাথে পরামর্শ করুন।

নিচে থানকুনি পাতার উপকারিতা ……

১। মস্তিষ্কের উপকারিতাঃ

থানকুনি পাতা খেলে মস্তিষ্ক ঠাণ্ডা থাকে। দৈনিক যদি একজন লোক ১৫০ থেকে ৩৫০ মিলিগ্রাম ডোজ হিসাবে ২ সপ্তাহ থানকুনি পাতা খেয়ে থাকেন তাহলে তার বিষক্রিয়াগত মাথাব্যথা এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমে যায়. এটি মেমরির উন্নতি সাধন করে এবং আলুমিনিয়ামের ও মাত্রা কমায়। গবেষকরা থানকুনি পাতাকে রোগের জন্য সম্ভাভ্য সম্পূরক খাদ্য হিসাবে দেখছেন।

২। ক্যান্সার প্রতিরোধ করেঃ

এক্সপোসার দ্বারা সৃষ্ঠ অতিবেগুনী রশ্মীর বিকিরনের প্রভাব থেকে স্কিন ক্যান্সার প্রতিরোধে থানকুনি পাতা অনেক উপকারি। মানুষের চামড়া কোষের চিকিৎসায় থানকুনি পাতা অধিক ফলপ্রদ। অর্থাৎ ফোড়া হলে এটি ফোড়া পাকাতে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

৩। লিভারের ক্ষতিরোধ করেঃ

এটি খেলে আপনার খাদ্যের হজম বেশি হবে এবং ফলে আপনার পাকস্থলী ভালো থাকবে। থানকুনি পাতা আপনার লিভারে্র ক্ষতি ক্প্রতিরোধে সাহায্য করে। তিন দিনের জন্য যদি আপনি থানকুনি পাতা প্রতি মাত্রায় ৫, ১০বা ১৫ মিলিগ্রাম খেয়ে থাকেন তাহলে আপনার শরীরের ওজন কমার পাশাপাশি আপনার লিভারের এনজাইম(খয়েরি বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ) কমাবে। থানকুনি পাতা আপনার শরীরের টিস্যুর ধ্বংসের কমানোর সাথে সাথে আপনার লিভারের ফাংশন উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত করবে।

৪। উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তা কমাতে কার্যকরী মহাঔষধঃ

থানকুনি পাতা আপনার মাথা ঠান্ডা রাখার মাধ্যমে আপনার উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তা কমায়। থানকুনি পাতা ভিবিন্ন চাপ দূর করে এবং মানসিকতা ভালো রাখার মাধ্যমে আচরণ উন্নত করে। শরীরের ওজন কমানো এবং হরমনের মাত্রা বৃদ্ধি করার মাধ্যমে থানকুনি পাতা দীর্ঘস্থায়ী স্ট্রেস দূর করে।

৫। বিভিন্ন ক্ষতস্থান শুকানোর ক্ষেত্রে অধিক কার্যকরীঃ

থানকুনি পাতার নির্যাস ক্ষত নিরাময়ে খুবিই সুবিধাজনক। ক্ষতস্থানে থানকুনি পাতা মানুষের চামড়ার টিস্যু মাইগ্রেশনে সাহায্য করে নতুন নতুন কোষ বৃদ্ধি করে।

আসলে আমাদের চারপাশের প্রকৃতিতেই রয়েছে মহামূল্যবান ভেষজ নির্যাস যা আমাদের দেহের জন্য খুবই উপকারী। এসব প্রাকৃতিক ওষুধে নেই যেমন কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, তেমনি এগুলো কাজ করে দেহের অভ্যন্তরে রোগের মূল উৎপাটনের মাধ্যমে। থানকুনি পাতা আমাদের দেশের মানুষের জন্য একটি অত্যন্ত সহজলভ্য ভেষজ উপাদান। রোগ থাকুক বা না থাকুক, মাঝে মাঝে থানকুনি পাতার রস খেলে আপনার দেহের জন্য উপকার বই ক্ষতি হবে না। কেননা, এসব ভেষজ নির্যাসের মধ্যে ক্ষতিকারক উপাদান নেই।
সূত্র ; google

লেখাটি পছন্দ হইলে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
নিয়মিত সুন্দর সুন্দর টিপস পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ এ অ্যাক্টিভ থাকুন।