”হেলথ টিপস” কিশমিশের পানি পানের উপুকারিতা

কিশমিশের পানি পানের উপুকারিতা —

কিশমিশের নানাবিধ শারীরিক উপকারিতা রয়েছে। তাই এখনই কিশমিশ খাওয়া শুরু করে দিন। তবে এ থেকে পুরোপুরি স্বাস্থ্য উপকারিতা পেতে চাইলে পানিতে ভিজিয়ে রেখে খেতে হবে। লক্ষণীয় একটি বিষয় কিশমিশ আবার খুব বেশিদিন নিয়ম করে খেতে হয় না। মাত্র চার দিন ৷ সকালে উঠে খালি পেটে কিশমিশ ভেজানো পানি পান করলেই ব্যস, পেট পরিষ্কার হবে। এবং অনেক বেশি সুস্থ বোধ করবেন ৷

পেটের গণ্ডগোল, লিভারে সমস্যা এখন ঘরে ঘরে ৷ তাই ওষুধ খাওয়ার বদলে ঘরোয়া উপায়েই এই সমস্যার সমাধান সম্ভব ৷ পেটের সমস্যা ছাড়াও রক্তস্বল্পতায় যারা ভুগছেন, তাঁদের জন্যও যথেষ্ট উপকারী এই কিশমিশ ৷ এতে রয়েছে নানা ধরনের ভিটামিন এবং মিনারেল ৷ তাই যাদের শুধু শুধু কিশমিশ খেতে ভাল লাগে না ৷ তারা অবশ্যই কিশমিশের পানি পান করুন। এর ফলে ক্ষতিকারক পদার্থ পেটে জমলে তা দূর হওয়ার পাশাপাশি হজমশক্তিও বাড়বে।
কিশমিশের পানি বানানো খুব সহজ ৷ দুই কাপ পানিতে ১৫০ গ্রাম কিশমিশ লাগবে ৷ খুব চকচকে কিশমিশ কিনবেন না ৷ এছাড়া খুব শক্ত বা খুব নরম কিশমিশ নেবেন না ৷ একটি পাত্রে দুই কাপ পানি নিয়ে তার মধ্যে কিশমিশ ভিজিয়ে রাখুন ৷ সকালে কিশমিশ ছেকে নিয়ে সেই পানিটুকু উষ্ণ গরম করে খালি পেটে পান করুন। এরপর আধঘণ্টা পানাহার থেকে বিরত থাকুন। অন্তত চার দিন এ পানি পান করুন। দেখুন জাদুকরী ফল।

 

সকালবেলা ঘুম থেকে উঠার পর এক বা দুই গ্লাস পানি পান করুন। এরপর বাথরুম বা দাঁত ব্রাশ করুন। পানি পানের অন্তত ৪৫ মিনিট পরে সকালের নাস্তা করুন। ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ এবং ডিনারের পর দুই ঘণ্টার জন্য কোনো খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
এই পদ্ধতিতে যেসব সমস্যার সমাধান হবে-গ্যাস্ট্রিক ১০ দিন, ডায়াবেটিস ৩০ দিন, কোষ্ঠকাঠিন্য ১০ দিন, উচ্চ রক্তচাপ ৩০ দিন, টিবি ৯০ দিনে অনেকটা নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে আশা করা যায়। যা হোক, যদি আপনার কোনো স্বাস্থ্য সমস্যা নাও থাকে, তারপরও এই অভ্যাস অনেক উপকারে আসবে এবং আপনি আরো সুস্থ এবং পূর্ণ শক্তির অধিকারী হবেন।
ঘন ঘন প্রস্রাব ছাড়া এই অভ্যাসের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। কিন্তু যারা আথ্রাইটিস রোগে ভুগছেন, তাদের এই অভ্যাসের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। তারা প্রথম তিন দিন সকালে প্রচুর পানি পান করতে পারেন। এরপর এক সপ্তাহের বিরতি নিতে হবে। তারপর আবার, এভাবে চলতে পারে।

 

লেখাটি পছন্দ হইলে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
নিয়মিত সুন্দর সুন্দর টিপস পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ এ অ্যাক্টিভ থাকুন।