ভর্তা ভোজে বৈশাখ

ভর্তা ভোজে বৈশাখ
গরম বা পান্তা ভাত। সঙ্গে চাই ভর্তা। বৈশাখে খাবার কথা ভাবতেই ভর্তার কথাই যেন প্রথমে মাথায় আসে। যে কোন উৎসবেই খাবার একটি গুরুত্তপূর্ণ বিষয়। উৎসবে আনন্দের অনেকটাই নির্ভর করে খাবার আয়োজনের উপর। তাই আসছে বৈশাখী উৎসবে আপনার আনন্দে যেন ভাটা না পরে, এ কথা মাথায় রেখেই আপনাদের জন্য আমরা বৈশাখী রান্না আয়োজন করেছি।

*আলু ভর্তা*

উপকরণঃ
৩টা বড় সাইজের আলু, শুকনা মরিচ ২ টা মাঝারি, পেঁয়াজ ১ টা কুঁচানো, সরিষার তেল ও লবন আন্দাজমতো।

প্রস্তুত প্রণালীঃ
আলু ভাল করে ধুয়ে ৪ ভাগ করে নিয়ে পানি সহকারে সসপ্যানে করে চুলায় দিন। সিদ্ধ হলে নামিয়ে ঠান্ডা হতে দিন। পেঁয়াজ কুচি ও শুকনা মরিচ অল্প তেলে ভাজুন। পেঁয়াজ বাদামী রং হলে নামিয়ে নিন। এবার আলুর খোসা ছাড়িয়ে পিষনিতে পরিমানমতো লবন ও সরিষার তেল, পেঁয়াজ, মরিচ দিয়ে মিহি করে পিষুন। ভর্তা হয়ে গেলে হাতে নিয়ে ছোট ছোট ৬ টা গোল বল করে বাটিতে করে পরিবেশন করুন।

*আলু ডিম ভর্তা*

উপকরনঃ
ডিম ২ টা, ১ টা মাঝারি সাইজের আলু, ১ টা কাঁচামরিচ কুচি, পেঁয়াজ কুচি ১ টেবিল চামচ, ধনেপাতা কুচি ১ চা চামচ, লবন পরিমানমতো।

প্রস্তুত প্রণালী :
আলু ও ডিম সিদ্ধ করে খোসা ছাড়িয়ে আলাদাভাবে চটকে নিন। এবার পেঁয়াজকুচি, কাচামরিচ কুচি, আধা চা চামচ সরিষার তেল ও লবন দিয়ে ভালোভাবে মেখে ভর্তা তৈরী করুন।

*শিম-আলু-বেগুন ভর্তা*

উপকরনঃ
শিম ৮/১০টি, ১টা মাঝারি সাইজের বেগুন, ৪টা মাঝারি সাইজের আলু, পেঁয়াজ কুচি ১ টেবিল চামচ, ৩/৪ টা শুকনা মরিচ, সরিষার তেল ১ চা চামচ, ধনেপাতা কুচি ১ চা চামচ ও পরিমানমতো লবন।

প্রস্তুত প্রণালীঃ
শিম ও বেগুন একসাথে ও আলু আলাদা সিদ্ধ করুন। আলু ও বেগুনের খোসা ছাড়িয়ে শিমসহ চটকে নিন। পেঁয়াজ কুচি ও শুকনা মরিচ অল্প তেলে ভাজুন। এবার সব উপকরণ একসাথে করে পিষনিতে ভালভাবে মিশিয়ে নিন।

*মিষ্টি কুমড়া ভর্তা*

উপকরণঃ
মিষ্টি কুমড়া ২ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, পানি ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি ২ টেবিল চামচ, কাঁচামরিচ কুচি ২ টেবিল চামচ, পিঁয়াজ কুচি ৪/১ কাপ।

প্রস্তুত প্রণালীঃ
মিষ্টি কুমড়া খোসা ছাড়িয়ে কেটে ধুয়ে পানি দিয়ে সিদ্ধ করে নিন। এবার পিঁয়াজ কুচি, কাঁচামরিচ কুচি, ধনেপাতা কুচি প্লেটে নিন। এবার সমস্ত মসলা হাত দিয়ে মেখে মিষ্টি কুমড়া মাখিয়ে নিন। হয়ে গেল মজাদার মিষ্টি কুমড়া ভর্তা।

*ডালের ভর্তা*

উপকরণঃ
মসুর ডাল ২০০ গ্রাম, পেঁয়াজ কুচি ২ টেবিল চামচ, ধনেপাতা কুচি ১ চা চামচ, কাঁচামরিচ কুচি ১ চা চামচ, সরিষার তেল ১ চা চামচ, লবণ স্বাদ অনুযায়ী এবং পানি পরিমাণমতো।

প্রস্তুত প্রণালি :
প্রথমে ডাল ভালো করে ধুয়ে নিয়ে পরিমাণমতো পানি ও লবণ দিয়ে শুকনো শুকনো করে সেদ্ধ করে নিন। একটি পাত্রে সরিষার তেল ও লবণ দিয়ে একত্রে ধনেপাতা, কাঁচামরিচ ও পেঁয়াজ কুচি ভালো করে চটকিয়ে নিয়ে সেদ্ধ করা ডাল তাতে দিয়ে ভালো করে মাখিয়ে ভর্তা করে নিন।

*বেগুন ভর্তা*

উপকরনঃ
বেগুন ২টি, টমেটো কুচি ১ কাপ, পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ, কাঁচামরিচ কুচি ১ টেবিল চামচ, শুকনা মরিচ কুচি ২টি, ধনেপাতা কুচি ৪ টেবিল চামচ, সরিষার তেল ৪ টেবিল চামচ, লবণ পরিমাণমতো,

প্রস্তুত প্রণালিঃ
গোল বেগুন তেল মেখে পুড়িয়ে নিন। এবার খোসা ফেলে ভালো করে চটকে নিন। এবার একটা প্যানে তেল দিয়ে পেঁয়াজ কুচি দিন। শুকনো মরিচ কুচি দিন।বেগুন ও টমেটো কুচি দিয়ে নেড়ে কাঁচামরিচ কুচি, লবণ ও চিনি দিন। মাখা মাখা হলে ধনেপাতা কুচি দিয়ে নেড়েচেড়ে নামিয়ে পরিবেশন পাত্রে ঢেলে নিন। গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।

*বড়ি ভর্তা*

উপকরনঃ
কুমড়োবড়ি – ১০/১২ টা, গরম ভাত – ১/৩ কাপ, পেঁয়াজ কুচি – হাফ কাপ, শুকনা মরিচ – ৩/৪ টালবণ – স্বাদমতো, সরিষার তেল – ১ টেবিল চামচ

প্রণালীঃ
প্রথমে বড়িগুলো আধা কাপ তেলে বাদামি করে ভেজে নিতে হবে।তারপর গুঁড়ো করে নিতে হবে পাটায় (১ কাপ) এবার ১/২ কাপ গরম ভাত ভালো করে চটকিয়ে বড়ির সঙ্গে মেলাতে হবে।শুকনা মরিচ তেলে ভালো করে ভেজে নিতে হবে।শুকনা মরিচ ও পেঁয়াজ একসঙ্গে ভালো করে মেখে লবণ ও তেল দিয়ে বড়ি মাখানোর সঙ্গে মিলিয়ে ভর্তা তৈরি করতে হবে।এই ভর্তা গরম ভাত দিয়ে খেতে খুব মজা।

 

লেখাটি পছন্দ হইলে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
নিয়মিত সুন্দর সুন্দর টিপস পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ এ অ্যাক্টিভ থাকুন।