বিয়েতে বরের পোশাক

বিয়ের অনুষ্ঠানে পোশাক অথবা সাজসজ্জা নিয়ে মেয়েদের আগ্রহ একটু বেশিই থাকে। কিন্তু যেহেতু বিয়ে সাধারণত মানুষ জীবনে একবারই করে, তাই বরের পোশাক আর সাজসজ্জা নিয়েও সচেতন হওয়া উচিত। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শেরোয়ানী, পাঞ্জাবি, নাগরা জুতা পাগড়ি ইত্যাদিই বরের পরিধেয় হিসেবে স্থান পায়। তা কোনটা আসলে কেমন হওয়া উচিত?

১। শেরোয়ানী

শেরোয়ানী বাংলাদেশী বিয়েতে বরের পোশাকের মধ্যে সবথেকে বেশি প্রচলিত বলা যায় । শেরোয়ানী কেনার সময় কিন্তু অবশ্যই ফেব্রিকের মান দেখে কিনবেন। নিম্নমানের ফেব্রিকের শেরোয়ানী একদমই আরামদায়ক হবে না। আবার দেখতেও বেশ খারাপই লাগবে। দরকার হলে ভালো কাপড় কিনে দর্জির থেকে বানিয়ে নিন।রঙের ক্ষেত্রে মূলত অফ হোয়াইট, সোনালী এবং মেরুন রঙের শেরোয়ানীই বেশি দেখা যায়। তবে কনের পোশাকের রঙের সাথে মিলিয়ে তা নির্ধারন করা উচিত। যেমন, কনের পোশাকের রঙ লাল হলে বরের শেরোয়ানী অফ হোয়াইট হলে ভালো লাগবে

২। পাঞ্জাবি

বিয়ের পাঞ্জাবি কিন্তু আট-দশটা পাঞ্জাবির মত হলে চলবে না। বিয়ের পাঞ্জাবি হতে হবে বেশ গর্জিয়াস, আর ভারি ফেব্রিকের। এছাড়া পাঞ্জাবির ওপর সুন্দর কারুকাজও দেখে নিতে হবে। রঙের ক্ষেত্রে পাঞ্জাবির অপশন অনেক বেশি। বিয়েতে কিন্তু শর্ট পাঞ্জাবি ভালো দেখায় না। বরের পাঞ্জাবি লম্বাই হতে হবে।সিল্ক, ভেলভেট অথবা সাটিন জাতীয় ফেব্রিকের পাঞ্জাবি বেছে নিন। খুব অসাধারণ ডিজাইন আর কারুকাজ না থাকলে কটনের পাঞ্জাবি বেছে নেয়ার প্রয়োজন নেই।

৩। পাজামা

পাঞ্জাবি অথবা শেরোয়ানী যা’ই হোক না কেন, এর সাথে পাজামাই বিয়ের সবথেকে আদর্শ পোশাক। সবথেকে ভালো হয় যদি পাঞ্জাবি অথবা শেরোয়ানীর সাথেই পাজামা একসাথে পাওয়া যায়। এভাবে সেটের সাথে কেনা পাজামাগুলো ম্যাচও করে যায় বেশ সুন্দর ভাবে। আলাদা পাজামা কিনতে গেলেও ম্যাচিং-এর দিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিন। আর আপনার উচ্চতা এবং শারীরিক গড়নের ওপর ভিত্তি করে চুরিদার অথবা ঢোলা পাজামা পড়ুন।

৪। পাগড়ি

বাংলাদেশী বরের সাজ পাগড়ি ছাড়া একদমই অসম্পুর্ণ। প্রাচীনকাল থেকেই উপমহাদেশের বিয়ের অনুষ্ঠানে বরের পাগড়ি এক অন্যতম অনুষঙ্গ। তাছাড়া, বিয়ের পাগড়ি বরকে রীতিমত রাজকীয় লুকে উপস্থাপন করে। বাজারে দুই ধরনের বিয়ের পাগড়ি পাওয়া যায়। এক ধরনের পাগড়িতে শুধু কাপড় দেয়া হয়, বরকে পাগড়ি নিজে থেকে মাথায় বেঁধে নিতে হয়। এ ধরনের পাগড়িতে কাপড়ের মান আর রঙই বেশি গুরুত্বপূর্ণ, কেননা খুব বেশি কারুকাজ করা সম্ভব হয় না। আরেক ধরনের পাগড়ি বাঁধাই থাকে, বর শুধু মাথায় পড়ে নিলেই হলো। এই ধরনের পাগড়িতে অনেক কারুকাজ করা যায়; পুতির মালা, পাথর ইত্যাদি দিয়ে পাগড়ি সাজানো হয়।

৫। নাগরা জুতা

বাংলাদেশী বিয়ের সাথে বরের নাগরা জুতা রীতিমত ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এখনও কনে পক্ষ থেকে দুষ্টুমি করে বরের নাগরা চুরি করে টাকা আদায়ের রীতি অনেক বিয়েতেই দেখা যায়। যা’ই হোক, অনেকেই মনে করেন জুতার দিকে খুব একটা গুরুত্ব দেয়ার দরকার নেই, কারণ পায়ের দিকে কেউ খুব একটা তাকায় না। আদতে এটা একদমই ঠিক নয়। বরের আপাদমস্তক সাজসজ্জার দিকেই সবার মনোযোগ থাকে। তাই নাগরাটাও সেরা মানের হওয়া উচিত। খুব ভারি কাজের নাগরা না পড়াই ভালো, নইলে পায়ে ফোস্কা পড়ে যেতে পারে। ভালো হয় ভেলভেটের তৈরি নাগরা পড়তে পারলে। দেখতে দারুণ, পড়তেও বেশ আরাম।

সূত্র ; biyebazaar

লেখাটি পছন্দ হইলে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
নিয়মিত সুন্দর সুন্দর টিপস পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ এ অ্যাক্টিভ থাকুন।