” ব্রাইডাল” বিয়ের কেনাকাটা

বিয়ে মানে একটা জীবনের এক নতুন অধ্যায়।তাই এই নতুন জীবনের পথচলায় শুরুটা কীভাবে সুন্দর এবং স্মরণীয় করে রাখা যায় এই নিয়ে কারও প্রচেষ্টার কোনও কমতি থাকে না। তাই বিয়ে নিয়ে চলে নানা আয়োজন।বিয়ের কেনাকাটা নিয়েও থাকে নানান প্রশ্ন। বাজেটের মধ্যে আপনার বিয়ের কেনাকাটা কীভাবে পরিপূর্ণ করা যেতে পারে সেই নিয়ে আমাদের এই আয়োজন।

গায়ে হলুদের সরঞ্জাম

‘দাও গায়ে হলুদ পায়ে আলতা,হাতে মেহেদি’ ‘হলুদ বাটো,মেন্দি বাটো,বাটো ফুলের মৌ’গায়ে হলুদের রয়েছে এরকম বহু প্রচলিত গান। কারণ বিয়ের সবচেয়ে আকর্ষণীয় অংশ হচ্ছে গায়ে হলুদ।তাই একে সবচেয়ে সুন্দর ভাবে উদযাপন করা চাই।

হলুদের তত্ত্বের উপকরণের মধ্যে থাকে-ডালা, কুলা, প্রদীপ, বাটি, রাখি, চন্দন, সোহাগপুরী, আফসান, হলুদ তোয়ালে, মেহেদি, ছোট পালকি, ঝুড়ি, মাছডালা, হাড়ি, পান-সুপারি, জর্দা, মিষ্টি, কনের জন্য কসমেটিক প্রভৃতি। এগুলো আলাদা করে কিনে নিজেই ডালা তৈরি করে নিতে পারেন। অথবা ডালার তৈরি সেট কিনে নিতে পারেন যেখানে সব সাজানো থাকবে।

এছাড়া ফুল গায়ে হলুদের অন্যতম অনুষঙ্গ। গহনা কিংবা স্টেজ সাজাতে প্রাকৃতিক ফুলের পাশাপাশি কৃত্রিম ফুল ও ব্যবহৃত হচ্ছে বর্তমানে।

কনের পোশাক

সময়ের সাথে সাথে কনের বিয়ের পোশাকেও পরিবর্তন এসেছে। ঐতিহ্যবাহী শাড়ি থেকে এখন লেহেঙ্গা, গাউনও বেছে নেওয়া হচ্ছে বিয়ের পোশাক হিসেবে।

শাড়ির ক্ষেত্রে লাল, সোনালি, কমলা, গোলাপি, মেরুন এই রঙগুলোর উপস্থিতি বেশী দেখা যায়। তবে বৌ-ভাতে এগুলোর বেগুনি, মেজেন্টা, আকাশি এই রঙগুলোর প্রাধান্য বেশী দেখা যায়।বিয়ের শাড়ির ক্ষেত্রে বেনারসী, জর্জেট, সিল্ক, ভেলভেট, কাতান থাকে পছন্দের তালিকায়। বৌ-ভাতের ক্ষেত্রে একটু ট্রেন্ডি হালকা শাড়ির প্রাধান্য থাকে। পার্টি শাড়ি, সিল্ক, বুটিকের শাড়ি নেওয়া যেতে পারে।

বর্তমানে শাড়ির পাশাপাশি বিয়ের পোশাক হিসেবে লেহেঙ্গাও রয়েছে কনেদের পছন্দের তালিকায়। মটকা সিল্কের লেহেঙ্গা শাড়ি বর্তমানে বেশ জনপ্রিয়। এতে লেহেঙ্গার সঙ্গে থাকে লম্বা হাতার ডিজাইনার ব্লাউজ। এছাড়া জর্জেট, নেটের লেহেঙ্গার ও চাহিদা রয়েছে।

বরের পোশাক

বিয়েতে কনের সাজ পোশাকের চেয়ে বরের সাজ পোশাকের গুরুত্ব কোন অংশেই কম নয়। বরের বিয়ের পোশাকের মধ্যে রয়েছে শেরওয়ানি, পাজামা, ওড়না, পাগড়ি, নাগরা। বিয়ের পোশাক হিসেবে শেরওয়ানির জুড়ি নেই। লাল, গোল্ডেন, মেরুন এই রঙের শেরওয়ানির বেশী প্রাধান্য থাকলেও বর্তমানে এগুলোর পাশাপাশি বেগুনি, সবুজ, নীল, কফি, আকাশি এই রঙের শেরওয়ানির চাহিদা বাড়ছে। এসব শেরওয়ানিতে থাকে নানান জরি,পাথর, সুতার কাজ। এর সঙ্গে রয়েছে পাগড়ি। কাতান, জামদানি কাপড় দিয়ে তৈরি করা হয় পাগড়ি। পাগড়ির মাথায় পালক ও পাথর বসিয়ে বিভিন্ন ডিজাইন করা হয়। শেরওয়ানির সাথে মিলিয়ে কেনা হয় পাগড়ি। এর সাথে মিলিয়ে কেনা হয় ওড়না। রেশমি কাপড়ের উপর পাথর, জরির কাজ থাকে ওড়নায়। বরের নাগড়া জুতায় ও ব্যবহার করা হয় জামদানি, কাতান কাপড়ের উপর নানা পুঁতি আর পাথরের কাজ।

সূত্র ; shajgoj

লেখাটি পছন্দ হইলে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
নিয়মিত সুন্দর সুন্দর টিপস পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ এ অ্যাক্টিভ থাকুন।