”মুখের প্রসাধনী” সুন্দর মুখের জন্য

নিয়মিত ত্বকের যত্ন নিলে ও সঠিক খাদ্যাভ্যাস অনুসরণ করলে সহজেই পাওয়া যাবে সুন্দর মুখমণ্ডল।

ক্লিনজিং, টোনিং ও ময়েশ্চারাইজিং: 

মেইকআপ তোলার পরে মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার করে টোনার এবং ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে।

ক্লিনজিংয়ের মাধ্যমে ত্বকের ময়লা দূর হয় এবং ত্বক সারা দিন সতেজ থাকে। টোনার ব্যবহার করার মাধ্যমে ত্বকের ময়লা ও তেল দূর হয়ে যায়। পাশাপাশি ত্বকে যদি ক্লিনজার আটকে থাকে তা পরিষ্কার করতেও টোনার সাহায্য করে।

টোনার ত্বক আর্দ্র ও কোমল করতেও সহায়তা করে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল, এটি ত্বকে পিএইচ এর সমতা রক্ষা করে এবং লোমকূপ সংকুচিত করতে সাহায্য করে।

ত্বকের জন্য ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা খুব জরুরি। ভালো ‘নাইট ক্রিম’ ঘন হয় এবং এতে ত্বকের প্রয়োজনীয় সকল উপাদান থাকে। তাই ত্বকের সমস্যা কমাতে রাতে উন্নত মানের ‘নাইট ক্রিম’ ব্যবহার করুন।

ত্বকের ধরন:

নিজের ত্বকের ধরন- তৈলাক্ত, শুষ্ক, সাধারণ বা মিশ্র ইত্যাদি বুঝে প্রসাধনী ব্যবহার করা উচিত। এছাড়াও প্রসাধনী কেনার ব্যাপারে যথেষ্ট বিচক্ষণ হওয়া প্রয়োজন। দৈনিন্দিন ব্যবহারের জন্য ক্রিম ও শ্যাম্পু যেন আপনার সঙ্গে মানানসই হয় এবং এতে যেন কোনো রকম ক্ষতিকারক রাসায়নিক উপাদান না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখুন।

সানস্ক্রিন ব্যবহার:

দাগ মুক্ত ত্বকের জন্য রোদে সানস্ক্রিন ব্যবহার করা প্রয়োজন। সানস্ক্রিন ব্যবহার করলে ত্বক সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে রক্ষা পায় এবং ত্বকের স্বাভাবিক রং বজায় থাকে।

ত্বক বিশেষজ্ঞদের মতে, রোদ উঠুক বা আকাশ মেঘলা থাকুক, বাইরে যান বা বাসায় থাকেন প্রতিদিন সকালেই সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত। আর প্রতি দুই ঘণ্টা পর পর সানস্ক্রিন ব্যবহার করা ভালো।

মেইকআপ: 

যতই ক্লান্ত থাকেন আর যে প্রসাধনীই ব্যবহার করেন ঘুমানোর আগে তা তুলে ফেলুন। এই সময় ত্বক কেবল শ্বাস নেয় না, ত্বক নিজের কাজও শুরু করে। ত্বকের যে কোনো সমস্যা এড়াতে উন্নত মানের ‘মেইকআপ রিমুভার’ এবং ফেইসওয়াস ব্যবহার করুণ।

‘মেইকআপ রিমুভার’য়ের বদলে জলপাইয়ের তেলও ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও অ্যালকোহল ও সুগন্ধহীন যে কোনো প্রসাধনী দিয়ে মেইকআপ তুলতে পারেন।

খাদ্যাভ্যাস: 

প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে ফল ও সবজি খাওয়া না হলে কোনো প্রসাধনী কাজে আসবে না। তাছাড়া  তৈলাক্ত ও গাঁজন করা খাবার এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। চিনি ও লবণ কম খান। এতে শরীর ও ত্বক দুই ভালো থাকবে।

প্রতিদিন স্বাস্থ্যকর খাবার খান। ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যেই নিজের পরিবর্তন নজরে আসবে। এক্ষেত্রে, প্রতিদিনের চা কফি খাওয়ার পরিবর্তে গ্রিন টি পান করুন। চিপস, কাপ কেক এবং বিস্কুটের পরিবর্তে ফলমূল খাওয়ার অভ্যাস করুন। যদি সম্ভব হয় তাহলে চিনির পরিবর্তে মধু বা গুঁড় খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন ।

সূত্র ; bdnews24

 

লেখাটি পছন্দ হইলে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
নিয়মিত সুন্দর সুন্দর টিপস পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ এ অ্যাক্টিভ থাকুন।