” টুকিটাকি” উকুনের সমস্যা

উকুন হওয়ার কারণ

আসলে অপরিচ্ছন্নতাই উকুন হওয়ার প্রধাণ কারণ। ঠিকমতো গোছল না করলে বা চুল নিয়ম মতো পরিষ্কার না করলে উকুন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

তাছাড়া উকুন ছোঁয়াচে। একজনের মাথায় উকুন হলে তা পাশাপাশি অন্যের শরীরের ছড়িয়ে পড়তে পারে। অন্যের ব্যবহৃত চুলের ব্রাশ বা চিরুণি, তোয়ালে, টুপি ইত্যাদি ব্যবহারের কারণে উকুন ছড়াতে পারে।

আবার চুল পরিষ্কার করা হলেও যদি ঠিকমতো শুকানো না হয় বা ভেজা চুল বেঁধে রাখার অভ্যাস থাকে তাহলেও উকুন হতে পারে।

“উকুন বেশি হলে এবং চুলকানোর পরিমাণ বেড়ে গেলে তা থেকে মারাত্বক ক্ষত হতে পারে। এবং সেই ক্ষত থেকে রোগ সংক্রমণ হয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে উকুনের জীবাণু থেকে রোগ সারা শরীরে বিভিন্ন অঙ্গে ক্ষতি করতে পারে।”

উকুন তাড়ানোর উপায়

উকুন থেকে রেহাই পাওয়ার কিছু ঘরোয়া উপায় জানান।

* যাদের উকুনের সমস্যা বেশি তারা নিয়ম করে, চুল আঁচড়িয়ে উকুন ফেলার চেষ্টা করুন।

* ১০০ মি.লি. অলিভ অয়েলের সঙ্গে ৫ থেকে ১০ গ্রাম তামাক পাতা ফুটিয়ে ঠান্ডা করে নিতে হবে। এর সঙ্গে ১৫ থেকে ২০ ফোঁটা নিমের তেল এবং ১ চিমটি লবঙ্গগুঁড়া মিশিয়ে ভালোভাবে ঝাকিয়ে নিতে হবে।

এই তেলটি প্রতিদিন রাতে চুলের গোড়ায় লাগিয়ে, সকালে যে কোনো উকুন নাশক শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এভাবে টানা ১৫ দিন ব্যবহার করলে উকুন দূর করা সম্ভব।

* শ্যাম্পুর বোতলে ১০ থেকে ১৫ ফোঁটা টি-ট্রি অয়েল মিশিয়ে রাখতে হবে। শ্যাম্পু করার সময় ঝাঁকিয়ে ব্যবহার করলে উকুনের প্রকোপ থেকে কিছুটা রেহাই পাওয়া যাবে।

* ন্যাপথলিন গুঁড়া করে নারিকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে চুলের গোড়ায় লাগিয়ে ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘন্টা অপেক্ষা করে শ্যাম্পু করে ফেলতে হবে। এভাবে উকুন কমে আসবে।

সাবধানতা

উকুন মারতে অনেকে মাথায় অ্যারোসল বা কিটনাশক স্প্রে করেন।

“এটা কখনোই করা উচিত নয়। কারণ কিটনাশক এক ধরনের বিষ। যা পোকামাকড় মারতে ব্যবহার হয়। এই কিটনাশক ত্বকের জন্য যেমন ক্ষতিকারণ তেমনি বিষাক্ত বলে স্বাসপ্রশ্বাসের জন্যেও ক্ষতিকর।”

যাদের চুলে উকুন আছে, তাদের টাওয়াল, গামছা, চিরুনি অন্যদের ব্যবহার করতে দেওয়া উচিত নয়। তাছাড়া তাদের টাওয়াল এবং বালিশের কভার প্রতিদিনই গরম পানি দিয়ে ধুতে হবে।

ভেজা চুল বেঁধে রাখা উচিত নয়। আর নিয়ম মতো চুল পরিষ্কার করা জরুরি।

সূত্র ; lifestyle

লেখাটি পছন্দ হইলে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
নিয়মিত সুন্দর সুন্দর টিপস পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ এ অ্যাক্টিভ থাকুন।