মেইকআপের জন্য হাইলাইটার

শুরুতে পার্টি মেইকআপের জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকলেও বর্তমানে নিয়মিত মেইকআপের জন্যও অনেকে হাইলাইটার ব্যবহার করেন।

মিশিয়ে নিন: 

মেইকআপের ক্ষেত্রে সবসময়ই একটি প্রসাধনীর সঙ্গে অন্য একটি মিশিয়ে নিলে বেশ ভালো ফল পাওয়া যায়। প্রতিদিনের ব্যবহৃত ফাউন্ডেশনের সঙ্গে অল্প পরিমাণে লিকুইড হাইলাইটার মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে নিন। এতে ত্বকে আলাদা আভা যুক্ত হবে। যারা ম্যাট ফাউন্ডেশন অতটা পছন্দ করেন না আবার তেলতেলেভাবও এড়িয়ে চলতে চান তাদের জন্য এই পদ্ধতি আদর্শ।

তেলের যাদু:

মুখের উঁচু অংশে, যেমন- গালের হাড়ে, নাকের উপর, কপালে, ঠোঁটের উপর এবং থুতনিতে ত্বকের রংয়ের চেয়ে এক শেইড হালকা কনসিলার লাগিয়ে নিন। এবার ভেজা স্পঞ্জে কয়েক ফোঁটা ফেইশল অয়েল নিয়ে কনসিলার ত্বকের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। এতে কনসিলার ত্বকের সঙ্গে মিশে যাবে সহজে এবং আলাদা উজ্জ্বলতাও যুক্ত হবে।

ত্বকের জন্য লিপগ্লস:

শুনতে অদ্ভুত শোনালেও যারা হাইলাইটিং মেইকআপ পছন্দ করেন তাদের জন্য এই পদ্ধতি বেশ কার্যকর। পাউডার বা লিকুইড হাইলাইটার ব্যবহারের পরও যদি মনে হয় মনমতো আভা পাওয়া যাচ্ছে না, সেক্ষেত্রে পছন্দমতো গ্লস নিয়ে গালের উঁচু অংশে আঙুলের সাহায্যে মিশিয়ে নিন। এর উপর পাউডার হাইলাইট ব্যবহার করুন।

দীপ্ত করতে ব্লাশ:

ম্যাট পাউডার ব্লাশের বদলে ‘ইলুমিনেইটিং ব্লাশ’ বেছে নেওয়া যেতে পারে। এর উপর চাইলে আলাদাভাবে পছন্দের রংয়ের ব্লাশ বুলিয়ে নেওয়া যায়। এতে গালে হালকা গোলাপি আভার পাশাপাশি উজ্জ্বলভাবও আসবে।

কন্টুয়ারের বিপরীত:

বেশ কিছুদিন ধরেই মুখের গঠন সুন্দর করে তোলার জন্য মেইকআপ প্রেমীরা কন্টুয়ারিং পদ্ধতি অনুসরণ করে আসছেন। তবে চাইলে এর বিপরীত কাজও করা যায়। অর্থাৎ গাঢ় শেইডের কনসিলারের বদলে হালকা শেইড নিয়ে মুখের উঁচু অংশগুলোতে মিশিয়ে নিলেই অনেকটা একই ধরনের ফল পাওয়া যাবে।

সূত্র ; bdnews24

লেখাটি পছন্দ হইলে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
নিয়মিত সুন্দর সুন্দর টিপস পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ এ অ্যাক্টিভ থাকুন।