”টুকিটাকি” ঘর পরিষ্কার করার কিছু সহজ উপায়

ঘর-বাড়ি প্রতিদিন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা সব সময় সম্ভব হয়ে উঠে না। তাই জানালা, কিচেনের সিল্ক কিংবা বাথরুমের কোণের মতো ঘরের বিভিন্ন জায়গায় খুব সহজেই জমে যায় ময়লা। তবে কিছু সহজ উপায় জানা থাকলে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব। তাই জেনে নেয়া যাক ঘর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার কিছু সহজ উপায়।

১. মাসে অন্তত এক দিন রেফ্রিজারেটর পরিষ্কার করার জন্য সময় রাখুন। তারপর ঈষদষ্ণু পানিতে সামান্য সাবান গুঁড়ো মিশিয়ে প্রতিটি ট্রে পরিষ্কার করুন। ট্রেগুলো পরিষ্কার করার জন্য কিছুক্ষণ বাহিরে রাখুন। অতিরিক্ত পানি মুছে ফেলুন। তারপর আবার ট্রেগুলো সেট করুন। এতে ফ্রিজে সাবানের গন্ধ থেকে যাবে না।

২. অনেক সময় রাথরুমের দেওয়ালে, কোণে বা সিলিংয়ে ছাতা পড়ে যায়। হাইড্রোজেন পার অক্সাইড এবং পানি ৫০:৫০ অুনপাতে মিশিয়ে এইসব জায়গায় স্প্রে করুন। দু’ঘণ্টা বাদে আবার স্প্রে করুন। ২৪ ঘণ্টা বাদে আরো একবার স্প্রে করুন। তবে জায়গাটায় কোনো রকম ঘষাঘষি করবেন না।

৩. খাবার ঘর পরিষ্কার রাখা খুব জরুরি। এক্ষেত্রে দুটি মাঝারি আকৃতির লেবু নিন। এর থেকে রস বের করে এক চা চামচ জলপাইয়ের তেল বা সবজির তেল মেশান। এর পর টেবিলের ওপর স্প্রে করুন। এটি খাওয়ার টেবিলকে জীবাণুমুক্ত রাখবে।

৪. শোবার ঘরের আসবাব ভিনেগার দিয়ে পরিষ্কার করলে ভালো হয়। এ ছাড়া বালিশের কভার, বিছানার চাদর ইত্যাদি ধোয়ার সময় পানির মধ্যে ভিনেগার ও সামান্য পরিমাণ লেবুর রস মেশাতে পারেন।

৫. বসার ঘরের সোফার কভার জীবাণুমুক্ত করতে এর ওপর বেকিং সোডা ছিটাতে পারেন। ৩০ মিনিট রাখার পর সোফার স্যাঁতসেঁতে কভারটি ধুয়ে ফেলুন। বেকিং সোডার মধ্যে রয়েছে জীবাণু দূর করার শক্তিশালী উপাদান।

৬. পোরসেলিনের সিঙ্ক পরিষ্কার করার জন্য সিঙ্কের মুখ বন্ধু করে ঈষদষ্ণু পানি ভরে, তার মধ্যে কয়েক টেবিল চামচ ক্লোরিন ব্লিচ মেশান। কিছুক্ষণ পর সিঙ্কের মুখ খুলে দিন। সিঙ্ক পরিষ্কার হয়ে যাবে। রাত্রে খাওয়া দাওয়ার পর যখন সিঙ্ক ব্যবহার করার আর প্রয়োজন হবে না, তখন এইভাবে পরিষ্কার করুন। পরের দিন সকালে পেপার টাওয়েলে সামান্য ব্লিচ নিয়ে সিঙ্ক মুছে নিন।

৭. বেকিং সোডা জিনিস পরিষ্কার রাখতে ও গন্ধ দূর করতে সাহায্য করে। কার্পেট, রেফ্রিজারেটর, জুতোর গন্ধ দূর করতে বেকিং সোডা উপকারী। কিছুক্ষণ বেকিং সোডা ছড়িয়ে রাখুন, তারপর ঝেড়ে ফেলুন।

৮. মেঝে পরিষ্কার করার জন্য এক লিটার পানিতে এক কাপের অর্ধেক পরিমাণ হাইসহোল্ড অ্যামোনিয়া মিশিয়ে ব্যভহার করতে পারেন। মেঝে পরিষ্কার রাখার আর একটা সহজ উপায় হলো—জলে দুই চা-চামচ লবণ মিশিয়ে ওই লবণ পানি রোজ ঘর মোছার জন্য ব্যবহার করুন।

৯. কাচের সেন্টার টেবিল বা টি টেবিলে টানা লম্বা আচড়ের মতো দাগ হলে সামান্য টুথপেস্ট দিয়ে ভালো করে ঘষে নিন।

১০. প্যানে বা কড়াইতে খাবার পুড়ে গেলে পরিষ্কার করতে খুব অসুবিধা হয়। ওর মধ্যে লিক্যুইড ডিশ সোপ ও পানি মিশিয়ে কিছুক্ষণ গ্যাসে রাখুন। ফুটে উঠলে চুলো বন্ধু করে দিন। কিছুক্ষণ ঠাণ্ডা হতে দিন। তারপর বাসন পরিষ্কার করুন। পোড়া খাবারগুলো সহজেই দূর করতে পারবেন।

১১. রান্না ঘরের সিঙ্কের তলায় বাথরুমের কোণের মতো জায়গা সব সময় ভিজে থাকে বলে নোংরা হওয়ার সম্ভাবনা সব থেকে বেশি। এই সব জায়গায় আলাদা আলাদা ডাস্টবিন রাখুন। ময়লা ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়বে না।

১২.জানালার কাচ পরিষ্কার করার সময় ভিতরের অংশ আড়াআড়ি পরিষ্কার করুন। বাইরের অংশ লম্বালম্বিভাবে পরিষ্কার করুন। এতে জানালার কাচে মোছার দাগ থাকলেও বোঝা যাবে না।

১৩. দরজা বা জানালার পর্দায় ধুলো জমে থাকলে দেখতে খারাপ লাগে। ডাস্টার বা ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়ে প্রথমে ধুলো ঝেড়ে ফেলুন। পর্দা ভারি হলে ড্রাই ওয়াশে দিতে পারেন।

১৪. কাচ বা সিরামিকের বাটিতে চারভাগের একভাগ হোয়াইট ভিনেগার ও এক কাপ পানি মিশিয়ে মাইক্রোওয়েভ ওভেনে রাখুন। পাঁচ মিনিট হাইপাওয়ারে ওভেন চালান। ভিনেগার ও পানির মিশ্রণের বাষ্প ওভেনের ভেতর গন্ধ দূর করতে সাহায্য করবে। তারপর ভিনেগারের বাটি ওভেন থেকে বের করে রাখুন। ঠাণ্ডা হলে স্পঞ্জ বা পরিষ্কার কাপড় এই মিশ্রণে ডুবিয়ে মাইক্রোওয়েব ওভেনের ভিতর ও বাইরের অংশ পরিষ্কার করে দিন।

সূত্র ; Facebook

লেখাটি পছন্দ হইলে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
নিয়মিত সুন্দর সুন্দর টিপস পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ এ অ্যাক্টিভ থাকুন।