আকর্ষণীয় সুন্দর নখ পেতে হলে

কল্পনা করুন খুবই আকর্ষনীয় এবং ব্যাক্তিত্ব সম্পন্ন একজন নারী। কিন্তু যখনই তিনি হাতটি উপরে তুললেন, তখন তার নখের ধরণ দেখে তার প্রতি জন্ম নেয় ইতিবাচক ধারণা নেতিবাচকে পরিণত হলো। তার ময়লা এবং বিবর্ণ নখ অযত্ন এবং অজ্ঞতারই পরিচয় বহন করে। এটি যে শুধু সৌন্দর্যহানীকর তা নয়, অস্বাস্থ্যকরও বটে।
একই কথা খাটে পায়ের নখের ক্ষেত্রে। এর যত্নে অবহেলা আপনার ব্যক্তিত্ব খর্ব করার জন্য যথেষ্ট। সুতরাং আপনার মুখ এবং ত্বকের যত্ন যেমন গুরুত্বপূর্ণ, সমানভাবে নখের দিকেও যথেষ্ট গুরুত্ব দিতে হবে।

নখের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা
নখ পরিষ্কার রাখা খুবই সহজ। এর জন্য ভালো মানের হ্যান্ডওয়াশ ব্যবহার করবেন। হাতের নখের ময়লাগুলো আলতো করে পরিষ্কার করুন। বেশি চাপ প্রয়োগ করবেন না। অনেক সময় দৈনন্দিন কাজে নখ এবং এর আশেপাশের ত্বকে দাগ পরে যায়। এই দাগ দূর করতে সহ্য করার মতো গরম পানিতে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে হাত ডুবিয়ে রাখুন। লেবুর রস দাগও দূর করবে আর আপনার নখের সৌন্দর্যও বৃদ্ধি করে। পায়ের নখ পরিষ্কার করতে একটি সুতি কাপড়ে সবান পানি দিয়ে ঘষুন। এই সৌন্দর্য ধরে রাখতে প্রতিদিন দুইবার নখ পরিষ্কার করা উচিত।
এর সাথে সপ্তাহে একবার মেনিকিউর-পেডিকিউরও করা উচিত।

নখের কোমলতা
নখ পরিষ্কার করার পর একটি তোয়ালে দিয়ে নখে জমে থাকা পানি পরিষ্কার করুন। নখে পানি জমে থাকলে তা থেকে ইনফেকশন হতে পারে। এবার পায়ের নখে কোনো ভালো মানের ময়শ্চারাইজিং ক্রিম নখ এবং এর আশপাশের ত্বকে লাগিয়ে ম্যাসাজ করুন। এতে আপনার নখের চারপাশের ত্বক কোমল থাকবে। হাতের নখের জন্য অলিভ অয়েল, এলমন্ড কিংবা ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার করতে পারেন।
নখের সুস্বাস্থ্য
আপনার সুন্দর নখ প্রকাশ করে আপনার ব্যক্তিত্ব এবং সুস্বাস্থ্য। যদি নখ হয় কোমল, মসৃণ এবং গোলাপী তাহলে বোঝা যাবে আপনার শরীরও সুস্থ্য আছে। ভাঙা, বিবর্ণ এবং দাগযুক্ত নখ কোন রোগ বা শারীরিক ভারসাম্যহীনতার চিহ্ন বহন করে। বেশি করে ভিটামিন এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার যেমন দুগ্ধজাত খাদ্য, ফল-মূল, শুষ্ক ফল এবং সবুজ শাক-সবজি খেলে শরীরের সাথে সাথে নখও কোমল, মসৃণ এবং উজ্জ্বল থাকবে।

সূত্রঃ rupcare

লেখাটি পছন্দ হইলে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
নিয়মিত সুন্দর সুন্দর টিপস পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ এ অ্যাক্টিভ থাকুন।