চুলের যত্নে তেলের ব্যবহার
চুলের সুস্থতার জন্য তেল অপরিহার্য। সবধরণের চুলের জন্য তেল প্রয়োজন। তেল চুলের আগা ফাটা রোধ করে চুল সিল্কি ঝলমলে করে তোলে। তবে চুলের ধরণ অনুযায়ী বেছে নিতে হবে তেল। আসুন তাহলে জেনে নিন কোন চুলে কোন তেলটি ব্যবহার করবেন।
১। রুক্ষ চুলের জন্য
রুক্ষ শুষ্ক চুলের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো আগা ফাটা। এই সমস্যার হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ঘন তেল যেমন অলিভ অয়েল, বাদাম তেল ব্যবহার করতে পারেন। এই তেলগুলো চুলে পুষ্টি যুগিয়ে চুলের রুক্ষতা দূর করে দেবে।
২। তৈলাক্ত চুলের জন্য
তৈলাক্ত চুলের অধিকারীরা হালকা জাতীয় তেল যেমন আরগান তেল ব্যবহার করতে পারেন। এটি চুলে একটি শাইনি লুক এনে দেবে। আবার তেল চিটচিটে ভাবও দেবে না।
৩। সাধারণ চুলের জন্য
নরমাল চুলের অধিকারীরা যেকোনো তেল ব্যবহার করতে পারেন। তবে নারকেল তেল বেশি উপকারী। এছাড়া বাদাম তেল, অলিভ অয়েল চুলে পুষ্টি যোগাতে সাহায্য করবে।
৪। খুশকি দূর করতে
মাথার তালুতে ফাঙ্গাল ইনফেকশন থেকে খুশকির উৎপত্তি। নিম অয়েল অথবা টি ট্রি অয়েল এই ফাঙ্গাস দূর করে খুশকি দূর করতে সাহায্য করে। এই দুটি তেলে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা মাথার তালুর ইনফেকশন রোধ করে।
৫। আগা ফাটা রোধ
ক্ষতিগ্রস্ত চুলের অন্যতম সমস্যা হলো আগা ফাটা রোধ। ক্যাস্টর অয়েলে ওমেগা ফ্যাটি অ্যাসিড এবং মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে যা চুলের আগা ফাটা রোধ করতে বেশ কার্যকর। চুলে সরাসরি ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার করবেন না। অন্যকোনো সাধারণ তেলের সাথে ক্যাস্টার অয়েল মিশিয়ে তারপর ব্যবহার করুন।
১। তেল মাথায় লাগানোর আগে তা কুসুম গরম করে নিন।
২। এবার এই তেলটি আঙ্গুল দিয়ে মাথার তালুতে ম্যাসাজ করুন। সবচেয়ে ভালো হয় চুলগুলো সিঁথি করে ভাগ করে ফেলুন। তারপর ম্যাসাজ করে চুলে তেলে লাগান।
৩। একসাথে অনেক তেল মাথায় ঢেলে দিবেন না। অল্প অল্প করে মাথার তালুতে ম্যাসাজ করে তেল লাগান। ১০-১৫ মিনিট ধরে তেল চুলে ম্যাসাজ করুন। এটি মাথার তালুতে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করবে।
৪। শ্যাম্পু করার আগে হট টাওয়েল ট্রিটমেন্ট দেওয়ার চেষ্টা করুন। কুসুম গরম পানিতে টাওয়েল ভিজিয়ে সেটি দিয়ে মাথা পেঁচিয়ে রাখুন ১০ মিনিট। তারপর শ্যাম্পু করে ফেলুন।
৫। সপ্তাহে কমপক্ষে একবার তেল ব্যবহার করুন।
সূত্র ; priyo
লেখাটি পছন্দ হইলে শেয়ার করতে ভুলবেন না।নিয়মিত সুন্দর সুন্দর টিপস পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ এ অ্যাক্টিভ থাকুন।