ভ্রমণে সন্তানের যত্ন

অনেকেই মনে করেন, বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে ঘুরে বেড়ানো বেশ ঝক্কির কাজ। কিছুটা বিড়ম্বনা তো থাকেই। কিছু বিষয়ে একটু খেয়াল রাখলে আদরের সন্তানদের সঙ্গে ভ্রমণ হবে আনন্দের। লিখেছেন শায়লা শারমিন-

২-৩ বছরের বাচ্চারা একটু একটু করে সব বুঝতে চেষ্টা করে। বেড়াতে যাওয়ার আগে তাদের সঙ্গে কথা বলুন কোথায় যাবেন, কীভাবে যাবেন, সেখানে কী কী দর্শনীয় জায়গা আছে, কাদের সঙ্গে দেখা হতে পারে এসব। তাতে তারা হঠাৎ ভড়কে যাবে না। আপনাকে না জানিয়ে অপরিচিত কারও দেওয়া কোনো খাবার খাওয়া বা অপরিচিত কারও সঙ্গে কোথাও চলে যাওয়া যাবে না- তা জানিয়ে দিন। ৫-১০ বছরের বাচ্চাদের ছোট্ট সাইড ব্যাগ বা ট্র্যাভেল ব্যাগ কিনে দিন। যাতে তারা তাদের প্রিয় খেলনা ও বই নিতে পারে। এ কাজে তারা যেমন আনন্দ পাবে, তেমনি কীভাবে ভ্রমণ প্রস্তুতি নিতে হয় তা শিখবে। যেখানে যাচ্ছেন সেখানে নিরাপদ পানীয় জলের ব্যবস্থা আছে কি-না, তা নিশ্চিত হয়ে নিন।

পোশাক-পরিচ্ছদ :

১-৩ বছরের বাচ্চাদের জন্য দিনে অন্তত তিন সেট জামা বাছাই করে রাখুন। এভাবে হিসাব করে কত দিন থাকবেন তা বুঝে পোশাক নিন। খেয়াল রাখতে হবে রাতের পোশাকটি যেন আরামদায়ক হয়। ৪-১০ বছরের বাচ্চাদের জন্য দিনে অন্তত ২ সেট জামা বাছাই করুন। বেশ কয়েক জোড়া মোজা নিন। এই শীতে মোজা যেমন দিনের বেলায় দরকারি, তেমনি রাতের বেলায় মোজা পরে ঘুমালে আরাম হয়। জ্যাকেট, পাতলা সোয়েটার নিন, আবহাওয়া বুঝে ব্যবহার করবেন। সঙ্গে নিন বাহারি কানটুপি। বাচ্চারা এই শীতে বেড়াতে গেলে যেন অবশ্যই কান ঢেকে রাখে তা খেয়াল রাখুন। মাফলার নিতে ভুলবেন না।

খাদ্য ও পানীয় :

১-৩ বছরের শিশুদের জন্য ফ্লাস্কে তৈরি করে নিতে পারেন পর্যাপ্ত পরিমাণে শিশুখাদ্য, অবশ্যই যা আপনার শিশুর পছন্দের তালিকায় রয়েছে। ভ্রমণের সময় খাবার নিয়ে নিরীক্ষা না করাই ভালো। ১-২ লিটার ঘরে বানানো ফলের জুস নিতে পারেন, যা বাচ্চাদের পাশাপাশি আপনাদেরও তৃষ্ণা মেটাবে। যাত্রাপথে মিষ্টি খাবার যতটা সম্ভব কম খাওয়াবেন। এর বদলে নিতে পারেন টক-ঝাল ধরনের খাবার। যেমন পনিরের তৈরি খাবার, ভেজিটেবল রোল, স্যান্ডউইচ, নানা রকম স্ন্যাকস। বাচ্চাদের নিয়ে ঘুরতে গেলে যাত্রাপথে অবশ্যই সঙ্গে রাখুন অন্তত ৪ লিটার নিরাপদ খাবার পানি।

প্রসাধন ও ওষুধ :

বাচ্চাদের প্রয়োজনীয় ময়েশ্চারাইজার ক্রিম, লোশন, চিরুনি নিতে ভুলবেন না। শিশুদের মালিশ করার তেল, বাথ সোপ, শ্যাম্পু সঙ্গে রাখুন। সঙ্গেই রাখুন সর্দিজ্বর, বমি, পেটব্যথা, ডায়রিয়া, আমাশয়ের কমন ওষুধগুলো। অচেনা জায়গায় ওষুধ খুঁজে ফেরা যেমন ঝামেলার, তেমনি আছে নকল ওষুধের ভয়। সঙ্গে নিতে ভুলবেন না ব্যান্ডএইড, অ্যান্টিসেপটিক ক্রিম ও থার্মোমিটার।

আনুষঙ্গিক :

নবজাতক থেকে ২ বছর পর্যন্ত শিশুদের জন্য নিন দিনে অন্তত ৫টি করে ডায়াপার। আপনার ৩ বছরের বাচ্চার জন্যও প্রয়োজনীয় ডায়াপার নিয়ে নিন। যে কোনো ভ্রমণে অবশ্যই সঙ্গে নিন ওয়েস্ট ব্যাগ। ডায়াপারসহ যে কোনো বর্জ্য নিস্কাশনে তা কাজে দেবে।

সূত্র ; samakal

লেখাটি পছন্দ হইলে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
নিয়মিত সুন্দর সুন্দর টিপস পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ এ অ্যাক্টিভ থাকুন।