শিশুর জ্বর কমিয়ে দিন ঘরোয়া ৬ উপায়ে

সাধারণত শরীরে অভ্যন্তরীণ কোন ইনফেকশন দেখা দিলে শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। যাকে আমরা জ্বর বলে থাকি। জ্বর এমন একটি অসুখ যা ছোট, বড় সবাইকে অনেক বেশি দুর্বল করে দিয়ে থাকে। আর তা যদি আদরের সোনামণিটার হয়ে থাকে তবে তো চিন্তার শেষ নেই। সাধারণত ঠান্ডা, সর্দির কারণে জ্বর আসলেও অনেক সময় সাধারণ এই জ্বর বড় রোগের পূর্ব লক্ষণও হতে পারে। অতিরিক্ত তাপমাত্রা অনেক সময় মস্তিষ্কে ক্ষতি সাধন করতে পারে। ঘরোয়া কিছু উপায়ে ৫ মিনিটের মধ্যে শরীরে তাপমাত্রা হ্রাস করা সম্ভব। আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক উপায়গুলো।

১। আলু
দুটি আলুর পেস্ট তৈরি করে নিন। এবার আলুর পেস্টটি শিশুর মোজার ভিতর রেখে দিন। মোজা জোড়া শিশুটির পায়ে পরিয়ে রাখুন। দেখবেন কয়েক মিনিটের মধ্যে শরীরে তাপমাত্রা কমে গেছে। কয়েক মিনিট পর মোজা দুটি খুলে ফেলবেন।

২। ভেজা কাপড়
একটি সুতির কাপড় ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে নিন। এবার এই ভেজা কাপড়টি শিশুর কপালে রাখুন। কয়েক মিনিট রাখার পর কাপড়টি তুলে ফেলুন। এইরকম কয়েকবার করুন। কিছুক্ষণের মধ্যে জ্বর অনেক নেমে গেছেন দেখবেন।

৩। কুসুম গরম পানিতে গোসল
আপনি আপনার শিশুটিকে কুসুম গরম পানিতে গোসল করাতে পারেন। অথবা কুসুম গরম পানিতে কাপড় ভিজিয়ে শিশুর শরীরটি স্পঞ্জ করে দিন। পানি তার শরীরের তাপমাত্রা বাষ্প করে বের করে দিয়ে তাপমাত্রা হ্রাস করে দিয়ে থাকে। তবে হ্যাঁ কুসুম গরম পানির পরিবর্তে ঠান্ডা পানি ব্যবহার করবেন না। ঠান্ডা পানি শিশুর তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি করে দিবে।

৪। তরল খাবার
আপনার শিশুটিকে কয়েক মিনিট পর পর এক চা চামচ করে পানি খাওয়ান। এটি আপনার শিশুর শরীর ভিতর থেকে হাইড্রেেটড করে দিবে। এছাড়া অল্প পরিমাণের ঠান্ডা দই, আইসক্রিম শিশুটিকে খেতে দিন। এটি শিশুর শরীর হাইড্রেটেড করে তাপমাত্রা কমিয়ে দিয়ে থাকে।

৫। খোলামেলা কাপড় পরিধান
জ্বরের সময় শিশুটিকে বেশি কাপড় পরিয়ে রাখবেন না। শিশুটির কাপড় কিছু ঢিলাঢালা করে দিন। কম কাপড় আপনার শিশুর তাপমাত্রা বৃদ্ধি করবে না, বরং তাপমাত্রা হ্রাস করতে সাহায্য করবে। যদি তার শীত লাগে তবে কম্বল বা লেপ জাতীয় কিছু জড়িয়ে দিন শিশুটিকে।

৬। ফ্যানের নিচে রাখুন
অনেক বাবা মা শিশুর জ্বর আসলে তাকে ফ্যান থেকে দূরে রাখেন। কিন্তু ফ্যান শিশুর শরীরে তাপমাত্রা হ্রাস করতে সাহায্য করে। তবে হ্যাঁ খুব বেশিক্ষণ শিশুকে ফ্যানের নিচে রাখবেন না। অল্প করে ফ্যান চালিয়ে শিশুটিকে কিছুক্ষণ ফ্যানের নিচে রাখুন। তারপর ফ্যানটি বন্ধ করে দিন।

তাপমাত্রা কমে যাওয়ার পর দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। তবে মনে রাখবেন এইগুলো কোন দীর্ঘস্থায়ী সমাধান নয়।

সুত্রঃ priyo

লেখাটি পছন্দ হইলে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
নিয়মিত সুন্দর সুন্দর টিপস পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ এ অ্যাক্টিভ থাকুন।