শিশুর পেট ফাঁপা সমস্যা

শিশুর পেট ফেঁপে থাকা খুবই পরিচিত সমস্যা। কখনো কখনো এর সঙ্গে পেটে ব্যথাও থাকতে পারে। পেটে গ্যাসের কারণে পেট ফেঁপে থাকতে পারে। বুকের দুধ খাওয়ানোর ত্রুটির কারণে অনেক সময় শিশুর পেটে গ্যাস হয়। আবার দুধের ল্যাকটোজ ভেঙেও শিশুর পেটে গ্যাস হতে পারে। অনেক সময় ফিডারে করে দুধ খেতে গিয়ে কিংবা ঢোক গিলার সময় শিশুর পেটে বাতাস প্রবেশ করতে পারে এভাবেও শিশুর পেটে গ্যাস হয়।

এ ছাড়া খাবারের কারণে শিশুর পেটে গ্যাস হতে পারে। শিশুর বয়স ছয় মাস হওয়ার পর বুকের দুধের সঙ্গে বাড়তি খাবার দেওয়া হয়। নতুন করে এসব খাবার দেওয়ার কারণে শিশুর পেটে গ্যাস হতে পারে। তবে নতুন খাদ্যাভ্যাসের সঙ্গে খাপ খেয়ে গেলে এ সমস্যা ঠিক হয়ে যায়। এটা নিয়ে তাই দুশ্চিন্তার কিছু নেই। বাইরের খাবার বিশেষ করে চকলেট, চিপস, জুস, আইসক্রিম বা ফাস্টফুড জাতীয় খাবার খেলে পেটে গ্যাস হতে পারে। খাবার দ্রুত খেলে এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি না খেলেও শিশুর পেট ফাঁপার সমস্যা হতে পারে।

প্রতিকার

শিশুর পেটে গ্যাস হওয়া প্রতিরোধে দুধ খাওয়ানোর সময় সতর্ক থাকতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে, বাতাস যেন শিশুর পেটে প্রবেশ করতে না পারে। দুধ খাওয়ানোর পর শিশুকে কাঁধের বাঁ বা ডান পাশে নিয়ে পিঠের ওপর থেকে নিচের দিকে হাত বুলিয়ে দিতে হবে। এভাবে শিশুর পেট থেকে বাতাস বের হয়ে আসে। এ ছাড়া খাওয়ানোর সময় বারবার ঢেকুর তোলালেও শিশুর পেট থেকে বাতাস বেরিয়ে যায়। বাচ্চাকে চিৎ করে শুইয়ে আস্তে আস্তে তার পেট ম্যাসাজ করলেও পেট ফাঁপার সমস্যা উপশম হয়।

পেট ফাঁপা প্রতিরোধ করতে শিশুর খাবারের দিকেও নজর দিতে হবে। শিশুকে সব সময় স্বাস্থ্যকর খাবার দেওয়া উচিত। অতিরিক্ত তেল-মসলাযুক্ত খাবার দেওয়া পরিহার করতে হবে। শিশুকে কখনোই ঝাল খাবার খাওয়ানো উচিত নয়। বরং সুস্থতার জন্য শিশুকে হালকা এবং সহজপাচ্য খাবার খাওয়ানো ভালো। শিশুকে ভাত বা খিচুড়ি একটু নরম করে খেতে দিন। শিশুর খাবার যেন প্রয়োজনের অতিরিক্ত না হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।

শিশুকে কখন হাসপাতালে নিতে হবে

পেট ফাঁপার সঙ্গে নিচের লক্ষণগুলোর যেকোনো একটি থাকলে শিশুকে অবশ্যই হাসপাতালে নিতে হবে। লক্ষণগুলো হচ্ছে :

শিশুর অতিরিক্ত কান্না করা

তীব্র পেট ব্যথা থাকা কিংবা পেট শক্ত হয়ে যাওয়া

পেট ব্যথার সঙ্গে বমি হওয়া

পায়খানার সঙ্গে রক্ত যাওয়া

শিশুর শরীরে জ্বর থাকা

শিশুর যেকোনো স্বাস্থ্য সমস্যা তীব্র মনে হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। মনে রাখবেন, রোগের সুনির্দিষ্ট কারণ জানার আগে শিশুকে কোনো ধরনের ওষুধ খাওয়ানো কখনোই উচিত নয়।

সুত্রঃ deshrupantor

লেখাটি পছন্দ হইলে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
নিয়মিত সুন্দর সুন্দর টিপস পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ এ অ্যাক্টিভ থাকুন।