বর্ষাকালে শিশুর যত্ন

প্রকৃতিতে চলছে এখন বর্ষাকাল। আর বর্ষাকাল মানেই যখন-তখন ঝরঝর বৃষ্টি। কিন্তু বৃষ্টির পানিতে ভিজলে বাচ্চাদের নানা অসুখ-বিসুখ হতে পারে। তাই বাচ্চাদের ভালোভাবে বুঝিয়ে ছাতা ও রেইনকোট ব্যবহারে অভ্যস্ত করে তুলতে হবে। বাচ্চাদের এসব বৃষ্টির পানি নিরোধক জিনিস ব্যবহারে উত্সাহী করে তুলতে রঙিন, নানা ধরনের প্রিন্টের বর্ণিল ছাতা ও রেইন কোট কিনে দিতে পারেন।

 

বাচ্চাদের স্বভাব হচ্ছে—হাত বাড়িয়ে বৃষ্টির পানি ধরবে। বৃষ্টিতে জমে থাকা পানিতে পা ডোবাবে। আর একটু খেয়াল না করলে দৌড়ে কোন ফাঁকে ভিজে গোসল সেরে আসবে সেটা আপনি টেরই পাবেন না। তাই বর্ষাকালে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে বাচ্চাদের ওপর। বাচ্চার সঙ্গে সঙ্গে নিজেও ছাতা ও রেইনকোট ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে তার আগ্রহ বাড়বে। কারণ বাচ্চারা বড়দের অনুকরণ করতে পছন্দ করে। কোনো কারণে বৃষ্টিতে ভিজে গেলে সঙ্গে সঙ্গে বাচ্চার মাথা ভালো করে মুছিয়ে দিন।

 

যদি খুব সমস্যা না হয়, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে গোসলও করিয়ে দেয়া যেতে পারে। অনেকে মনে করেন গোসল করালে ঠাণ্ডা লাগবে; কিন্তু ন, বৃষ্টির পানি ধুয়ে ফেলাই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। সম্ভব হলে সরষের তেল মেখে গোসল করাতে পারেন। এতে ঠাণ্ডা কেটে যাবে। শুকনো জায়গা রেখে পানিতে পা দিয়ে হাঁটতেই বাচ্চাদের বেশি আগ্রহ থাকে, ভালো লাগে। আপনি খেয়ালও করতে পারবেন না, আপনার পাশে হাঁটা বাচ্চাটি কখন লাফ দিয়ে পানিতে পা ডুবিয়েছে। তাই যদি পা ডুবিয়েই ফেলে তো আর কি করা! ভেজা জুতা বেশিক্ষণ পায়ে রাখবেন না। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব জুতা খুলে দিয়ে পা ভালো করে ধুয়ে-মুছিয়ে দিন।

 

আঙ্গুলের ভেতরেও যেন পানি না থাকে। জুতা-মোজাও ভালো করে শুকিয়ে নিন। একটু সতর্ক হলেই দেখবেন এই বর্ষায়ও আপনার শিশু থাকবে সুস্থ ও সুন্দর। বর্ষায় আপনার শিশুকে সুস্থ-সবল রাখতে মায়েদের সচেতনতাই যথেষ্ট। সেই সঙ্গে বাবাদেরও সন্তানের প্রতি বাড়তি খেয়াল রাখা উচিত।

সূত্র ; oporajita

লেখাটি পছন্দ হইলে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
নিয়মিত সুন্দর সুন্দর টিপস পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ এ অ্যাক্টিভ থাকুন।