ঘরে তৈরি করুন “গোলাপ জাম”

সাজসজ্জা
গোলাপ জাম বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার একটি জনপ্রিয় মিষ্টি। এই মিষ্টি গুলাব জামুন বা লাল মোহন নামেও পরিচিত। গোলাপ জাম নামের উৎপত্তি হয়েছে ‘গুল’ ও ‘আব’ এই দুটি শব্দ থেকে। ‘গুল’ অর্থ গোলাপ আর ‘আব’ অর্থ পানি অর্থাৎ এখানে গুলাব অর্থ গোলাপ জল। আর মিষ্টিটি দেখতে কিছুটা জামের মত বলে নামের সঙ্গে ‘জাম’ যুক্ত হয়েছে।

মিষ্টির খামির তৈরির উপকরণঃ
১ কাপ গুঁড়া দুধ
১/৪ কাপ ময়দা
১/৪ কাপ তরল দুধ
ঘি ১ টেবিল চামচ
বেকিং সোডা ১/৪ চা চামচ
তেল ভাজার জন্য

সিরাপ তৈরির উপকরণঃ
চিনি ১ কাপ
পানি ১ কাপ
এলাচ দানা ২/৩টি
গোলাপ জল ১/২ ফোঁটা

প্রস্তুত প্রণালীঃ

প্রথমে সিরা তৈরির জন্য একটি পাত্রে চিনি, পানি, এলাচ দানা মিশিয়ে চুলায় দিয়ে নাড়তে থাকুন। প্রায় ৫ মিনিট নাড়ার পর সিরা একটু ঘন হয়ে গেলে চুলা থেকে নামিয়ে একপাশে রেখে দিন।
এবার ময়দা, গুঁড়ো দুধ, বেকিং পাউডার একসাথে মিশিয়ে ভালো করে চেলে নিন।
মিশ্রণে ঘি মিশিয়ে নিন ভালো করে। এরপর অল্প অল্প করে তরল দুধ ঢেলে ময়ান করুন।
মিষ্টির খামিরটি খুব বেশি শক্ত ও হবে না আবার একেবারে নরমও করা যাবে না। বেশ কোমল আর সামান্য আঠালো হবে।
এবার কিছুটা খামির হাতের তালুতে নিয়ে গোল করে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ছোট বলের মত আকৃতি দিন। হাতের সাথে আটকে যেতে চাইলে একটু ঘি মেখে নিন হাতে।
সব গুলো মিষ্টি সমান আকারের তৈরি করতে চেষ্টা করুন, তাহলে দেখতে ভালো দেখাবে। খেয়াল রাখুন যাতে মিষ্টির বল গুলোতে কোনো ফাটল না থাকে
চুলা মাঝারী আঁচে রাখবেন। আঁচ কম হলে মিষ্টি ফুলবে না আর বেশি হলে পুড়ে যাবে।
চুলায় একটি কড়াইয়ে তেল গরম করুন। তেল গরম হলে মিষ্টি দিয়ে দিন।একবারে ৪/৫টির বেশি মিষ্টি দিবেন না।
মিষ্টিগুলোকে অনবরত নাড়তে থাকুন। তাহলে পুরো মিষ্টির সব যায়গায় একই রঙ হবে। নাহলে এক দিক বেশি লাল আরেক দিক কম লাল থেকে যাবে।
মিষ্টিগুলো বাদামী রঙ হয়ে গেলে চুলা থেকে নামিয়ে একটু ঠান্ডা করে ১ ঘন্টা সিরায় ভিজিয়ে রাখুন।
পরিবেশন করুন মজাদার মিষ্টি গোলাপ জাম। ঠান্ডা অথবা গরম দুই ভাবেই খেতে মজা এই মিষ্টি। গরম খেতে চাইলে মাইক্রোওয়েভে ৩০ সেকেন্ড গরম করে নিতে পারেন।

বাসায় বানানো গোলাপ জামের স্বাদে ও গন্ধে অতুলনীয়। গোলাপ জাম বাসায় বানালে একদিকে যেমন খাঁটি হওয়ার নিশ্চয়তা থাকে অন্যদিকে খেতেও অত্যন্ত মজাদার হয়। তাই বাসাতেই বানিয়ে নিন জনপ্রিয় এই মিষ্টিটি। একবারে বেশি করে বানিয়ে রেখে ফ্রিজে সংরক্ষণ করে খেতে পারবেন অনেক দিন।

লেখাটি পছন্দ হইলে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
নিয়মিত সুন্দর সুন্দর টিপস পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ এ অ্যাক্টিভ থাকুন।